মিন্নির পরামর্শ ও পরিকল্পনায় রিফাতকে হত্যা, ঠেকানো ছিল অভিনয়  

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নি ছিলেন হত্যার মূল উদ্যেক্তা এবং তার পরামর্শ ও পরিকল্পনায় রিফাতকে হত্যা করা হয়।

রিফার হত্যার ২৩২ পৃষ্ঠার রায়ে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন আদালত। গত বুধবার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।

রায়ে বলা হয়, রিফাত হত্যার মূল ছক আঁকেন তারই স্ত্রী মিন্নি। এ পরিকল্পনাতে সাড়া দেয় নয়ন বন্ড। পরে তারা পরামর্শ করে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করে। নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সঙ্গে পরামর্শ করে চূড়ান্ত করে পরিকল্পনাটি। সেই অনুযায়ী ঘটনার দিন নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী, রাব্বী আকন, টিকটক হৃদয়, সিফাত, মো. হাসান ও মিন্নি পরিকল্পনা অনুযায়ী রিফাত শরীফ হত্যার প্রমাণিত ভূমিকা পালন করে। আসামি নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী ভিকটিম রিফাত শরীফকে কোপানোর সময় নয়ন বন্ডকে ঠেকানো আসামি মিন্নির অভিনয় ছিল এবং সুকৌশলে রিফাত শরীফকে আঘাত করতে সহায়তা করে মিন্নি। পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রিফাত শরীফ।

এতে আরো বলা হয়, ভিডিওতে রিফাত ফারাজী, রাব্বী আকন, টিকটক হৃদয়, সিফাত, মো. হাসান ও মিন্নির ভূমিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঘটনায় তাদের ভাবভঙ্গি-হাবভাব গতিবিধি ও ভূমিকা বিচ্ছিন্ন ছিল না। এটা তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। রিফাত শরীফকে হত্যা করাই ছিল হত্যাকারীদের অভিন্ন উদ্দেশ্য। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা তথ্য গোপন করে। তাদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে পরিকল্পনার পূর্ণ চিত্র প্রতিফলিত না হওয়ায় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সাক্ষ্যগত মূল্য হারায় না।

রায়ে আরও বলা হয়, এ মামলার ভিডিও ফুটেজ দুইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জীবন্ত সাক্ষ্য। এ সময় মিন্নির সাহায্য করার ঘটনা রক্ষা করার কৌশল মনে হলেও সে তার স্বামীকে রক্ষা করতে ঢাল না হয়ে অন্যদের দিকে নির্ভীকভাবে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেছিল। যেন হত্যাকারীদের সঙ্গে তার সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশ পায়।

আরও পড়ুন

রিফাত হত্যা মামলায় স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

‘রিফাত হত্যার মাস্টারমাইন্ড মিন্নি’

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ